Description
মানুষ যে দিন যাযাবর-বৃত্তি ত্যাগ করে গৃহস্থ হবার ইচ্ছায় গৃহের ভিত্তি স্থাপন করল সেইদিন সভ্যতার ভিত্তিও স্থাপিত হল। আহার্যের জন্য বনে বনে ফলমূলের বা পশুর অন্বেষণের পরিবর্তে কৃষিকার্য ও পশুপালন আরম্ভ হল। এই উদ্দেশ্যে নূতন দেশ-আবিষ্কারের চেষ্টায় যখন আর্যেরা ভারতবর্ষের উত্তর-পশ্চিম সীমার বাইরের কোন সুদূর দেশ থেকে এসে ভারতবর্ষে প্রবেশ করেন, তখন তাদের সহচর অনুচরেরা বনাচ্ছাদিত নদীবহুল, তৃণশল্পপূর্ণ উর্বর ভূমির বন পরিষ্কার করে শস্যোৎপাদনের উপযােগী ক্ষেত প্রস্তুত করতে আরম্ভ করেন। যে দেশের মধ্য দিয়ে সিন্ধু প্রবাহিত হয়েছে সেই দেশই এঁদের দৃষ্টিকে প্রথম আকর্ষণ করে। ঋগ্বেদের দশম মণ্ডলে দেখতে পাওয়া যায় ঋষি ঘৌরক সিন্ধুর স্তুতি করে বলছেন, “সিন্ধু চিরযৌবন ও সুন্দর; তার উৎকৃষ্ট ঘােড়া, উৎকৃষ্ট রথ এবং উৎকৃষ্ট বস্ত্র আছে, সুবর্ণের অলঙ্কার আছে, তিনি উত্তমরূপে সজ্জিত হয়ে আছেন, তার বিস্তর অন্ন আছে, বিস্তর পশুললাম আছে, তার তীরে সীলমা-তৃণ আছে। তিনি মধু-প্রসবকারী পুষ্পদ্বারা আচ্ছাদিত।” (ঋগ্বেদ ১০৭৫৮) সিন্ধুক্ষিৎ ঋষি বলছেন “হে সিন্ধু, যখন তুমি অন্নশালী অর্থাৎ শস্যশালী প্রদেশ লক্ষ্য করে ধাবিত হলে, তখন বরুণ দেব তােমার যাবার নানা পথ করে দিলেন। (ঋ ১০৭৫২) শােভনীয় তৃণযুক্ত দেশে আমাদেরকে নিয়ে যাও…
Reviews
There are no reviews yet.