Description
ধর্মাশ্রিত যৌন-আরাধনার বৈশ্বিক ইতিবৃত্ত সংক্রান্ত এই গ্রন্থ। আদিম যুগের প্রাক-ধর্মীয় মানবজীবনে প্রাকৃতিক এবং বিভিন্ন রহস্যের ঘটনাবলীকে কেন্দ্র করে আচরিত যৌনতার বিচিত্র ক্রিয়াকলাপ পরবর্তী সময়পর্বে ধর্মীয় অনুষঙ্গে যুক্ত হয়ে আরও অসংখ্য পদ্ধতি, মতবাদ, তত্ত্ব এবং তথ্যে সমৃদ্ধির ফলে বিশাল রূপ ধারণ করেছে। এই গ্রন্থে সমগ্র পৃথিবীর মানবসমাজের নানান ধর্ম ও অধ্যাত্ম সাধনার মধ্যে সম্পৃক্ত যৌনাত্মক ক্রিয়াকলাপ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় নিবিড় নিষ্ঠায় অনুসন্ধান এবং বিশ্লেষণে আলোকিত হয়ে উঠেছে যৌন-অর্চনার সমগ্র দিক।
অশুভ শক্তি বিতাড়নে যৌন-প্রতীক সারা বিশ্বে বহুল প্রচলিত। ইউরোপের প্রাচীন মূর্তিপূজক ধর্মগুলির মধ্যে যৌনপ্রতীককে শুভ রূপে গণ্য করার প্রথা বিদ্যমান ছিল। সম্ভবত চার্চের আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে যোনির প্রতীকটি পরিবর্তিতভাবে ঘোড়ার নাল বা Horse shoe-তে রূপান্তরিত হয়। একই পর্যায়ভুক্ত আরব বেদুইনদের তাঁবুর সামনের দরজার উপরে গোরু, উট বা ঘোড়ার স্ত্রী-যৌনাঙ্গ টাঙিয়ে রাখা। বেদুইনদের বিশ্বাস, এর ফলে শয়তানের আত্মা দূর হয়ে যাবে। ফিলিপিন্সের প্রাচীন লোককথায় প্রকাশ, ড্রাকুলার মতো রক্তপিশাচ Aswang-দের দৃষ্টি থেকে বাড়িকে রক্ষা করতে লিঙ্গ ও বীর্যের রূপক বাড়িতে রাখা উচিত। Beroalda de Virville জানাচ্ছেন ষোড়শ শতকের ইউরোপেও স্ত্রী-জননাঙ্গের দর্শন রোগমুক্ত সুস্থ দীর্ঘজীবন যাপনের টোটকা রূপে স্বীকৃত ও পূজিত ছিল। আমাদের দেশে যোনিতন্ত্রম-এ বলা হয়েছে- যোনিদর্শণমাত্রেণ কুলকোটিং সমুদ্ধরেৎ।
ধর্ম ও উপাসনা-কেন্দ্রিক ভাবনায় প্রথম থেকেই যুক্ত রয়েছে নানান যৌনাত্মক রীতিনীতি, বিশ্বাস ও মতবাদ। বিভিন্ন সময়পর্বে সেগুলির রূপান্তর ঘটেছে, এসেছে আরও বিবিধ যৌনসাধনতত্ত্ব। সমগ্র পৃথিবী জুড়েই আদিমকাল থেকে যৌনপূজা ও সাধনার বিচিত্র প্রবাহ রয়েছে গ্রন্থটিতে।
Reviews
There are no reviews yet.