Description
ভূপেন্দ্রনাথ দত্তের দৃষ্টিভঙ্গি এবং তাঁর ইতিহাস-অনুসন্ধিৎসু মনোভাব থেকে চৈতন্যযুগের সামাজিক ও ধর্মীয় বিবর্তন একটি ব্যতিক্রমী আলোচনার ক্ষেত্র হয়ে ওঠে। তুর্কি আক্রমণের পর ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দু ধর্মের পুনরুত্থানের আকাঙ্ক্ষা, বিপুল সংখ্যক হিন্দুদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া সত্ত্বেও, ভূপেন্দ্রনাথের কাছে বিস্ময়কর ছিল। এই পুনরুত্থানবাদী মানসিকতার সঙ্গে তিনি নিজের অবস্থান মেলাতে পারেননি। তাঁর মতে, চৈতন্যদেবের মধ্যে একধরনের টানাপোড়েন ছিল, যা জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। তবে এই টানাপোড়েন সত্ত্বেও চৈতন্যদেব মূলধারার সামাজিক প্রবাহে বিলীন হননি। বরং নিত্যানন্দের ভূমিকা এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ভূপেন্দ্রনাথের মতে, নিত্যানন্দই প্রথম ব্যক্তি যিনি বাংলায় সমাজ-বৈপ্লবিক ভাবনার সূচনা করেছিলেন। তিনি নিত্যানন্দকে প্রথম ‘সমাজ-বৈপ্লবিক’ হিসেবে চিহ্নিত করে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন, যা চৈতন্যদেবের সঙ্গে তাঁর তুলনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে।
Reviews
There are no reviews yet.