Description
সমর ভট্টাচার্য জন্মেছিলেন অবিভক্ত নদীয়া জেলার মেহেরপুরে। সমরের অনতি-বাল্যকালেই তাদের পরিবার এপার বঙ্গে চলে এলেও সমর তাঁর সত্তা-বিজড়িত মেহেরপুরের অপরিণত স্মৃতি আজীবন বহন করেছেন। উচ্ছিন্ন নিরুপায়তায় ছেড়ে আসা সেই ভূ-বিশ্ব
ভৈরবের পাড়ের সেই গ্রামীণ অথচ প্রাচীন পুর এবং জেলা মহকুমা মেহেরপুর শহরের নিসর্গ ও মানবসঙ্গের স্পর্শকে কখনও পেছনে ফেলে যেতে পারেননি সমর—না জীবনযাপনে, না নিজের সৃজন-বিশ্বে। সেই মায়াময় সৃজন-বিশ্বে সবাইকে স্বাগত।
“নগেন পাটনি নৌকোর কাছি খুলে দাঁড় হাতে গলুইয়ে বসে কার একটা উদ্দেশে প্রণাম করে যাত্রা শুরু করল। এখন বর্ষাকাল হলেও বর্ষার শেষপর্ব, গমনের সময় উপস্থিত। শরৎ আসছে আসছে ভাব। নদীর দু-কূলে সাদা বকের ডানার মতন কাশফুলের ইশারা। তারই মধ্যে ধূসর আকাশে ফকিরি আলখাল্লার মতো সবুজ-নীল তালি। আওলা মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে আকাশময়। কখনও বা বৃষ্টি হতে হতে চলে যাচ্ছে, কখনও বা নদীর এপারে বৃষ্টি, ওপার শুষ্ক। স্রোতের পক্ষে নৌকা তরতরিয়ে ছুটছে। হাওয়াটা পক্ষে বলে দুইয়ের ওপর বাঁশের দাও পাল টাঙিয়েছে নগেন পাটনি। হাওয়া পেয়ে পাল ফুলে উঠেছে।
নৌকা ছুটছে পক্ষীরাজের মতন। দু- গলুইয়ে দুজন পাটনি হাল ধরে স্থির বসে। পেরিয়ে যাচ্ছে গ্রাম। নদীর দু-কূল অন্য রকম। এক কূলে উঁচু পাউরি, অন্য কুল সমস্ত পাউরির ফাঁকফোকরে মাছ-শিকার পাখপাখালির ভাউড়ি।
Reviews
There are no reviews yet.