Description
গঙ্গার জল কেন, পচে না? ভেবে দেখেছেন কখনো? কোনো ম্যাজিক না কি ভক্তির ফলে? ভগবানের আশীবাদ? না কি এয় মধ্যে বীজ বপন করে আছে ভগবানরূপী বিজ্ঞান। প্রাচীনকালেও কি আমাদের পূর্বপুরুষেরা জানতেন গঙ্গার পবিত্রতার সেই বৈজ্ঞনিক কারণ, আর সেইজন্যই কি পূজা পদ্ধতিতে গঙ্গা জলের ব্যবহারের আচার।
পুরাণ মতেঃ
মহারাজ ভগীরথ ছিলেন মহীয়ান এক বালে মিনি গঙ্গাকে স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে আনয়ন করেছিলেন, কারণ তাঁর ৬০,০০০ পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি গঙ্গার জল ছাড়া নাকি সন্তর ছিল না। সূর্যবংশের যে পূর্বপুরুষেরা ঋমি কপিলের অগ্নি দৃষ্টির কারণে পুড়ে ভাই হয়ে গেছিলো, তাঁদের বিধিসম্মত শ্রাদ্ধশান্তির জন্য মহারাজা ভগীরথ ঋষি কপিলের দ্বারস্থ জন। কপিল মুনি উপদেশ দিয়েছিলেন, পূর্বপুরুষদের মুক্ত কষ্টতে হলে মা গঙ্গাকে স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে নামাতে হবে, কিন্তু একটা বড় সমস্যা ছিল যে মা গঙ্গা যদি সরাসরি স্বর্গ থেকে নেমে আসেন তাহলে তার এত শক্তি হবে যে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। বিশ্বকে রক্ষা করার জন্য, ভগবান মহাদেব নাকি এসে মা গঙ্গার প্রবাহ কমিয়ে দিয়েছিলেন এবং মা র্থদাকে তাদের সুন্দর ড্রেডসকগুলিতে প্রবাহিত করতে দিয়ে পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন।’
কে এই রাজা ভগীরথ। গঙ্গার মতন এমন বিধ্বংসী প্রকাণ্ড নদীকে কি কোনো মানুষ সৃষ্টি করতে পারে।
বাকিরা এর মধ্যে পুরাণের বাণী দেখছেন কিন্তু গবেষণা বলছে অন্য কথা। গবেষণা বলছে, এ ঘটনা পৃথিবীতে ঘটা আজ পর্যন্ত সর্বাপেক্ষা বড় ‘রিভার ইরিগেশন প্রোজেক্ট’ হলেও হতে পারে। গঙ্গোত্রী থেকে দেবপ্রয়াগ কি তাহলে একপ্রকারের মানবসৃষ্ট রিভার ইরিগেশন প্রোজেক্ট? বিদেশের গবেষণাই বা কি বলছে এ তথ্যের ব্যাপারে? শেষ হিমযুগেরই বা কি যোগাযোগ এই ঘটনার সাথে? কি বলছে প্রাচীন ম্যাপ, পুঁথি আর পুরাণের উই ধরা পাতা?
Reviews
There are no reviews yet.