Description
আমরা প্রত্যেকেই দু’টো জগতের সঙ্গে পরিচিত। বাস্তব জগৎ, অর্থাৎ যা হয়; এবং কল্পনার অলীক জগৎ, অর্থাৎ যা হলে ভালো হত। কিন্তু এই দুইয়ের মাঝামাঝি যদি থাকে এক তৃতীয় ধূসর জগৎ? ধরা যাক, স্বপ্নের ভেতর আপনি সত্যিই পৌঁছে গেলেন এক কাঙ্ক্ষিত, কিন্তু অস্তিত্বহীন জায়গায়। কিংবা ঘুমের মধ্যে এমন এক ঘটনা প্রত্যক্ষ করলেন, যা ঘটেছিল সুদূর অজানা অতীতে, অন্য কারওর জীবনে। সন্তানের হোমটাস্কে লেখা রূপকথায় হঠাৎ সচমকে আবিষ্কার করলেন নিজের ফেলে আসা জীবনের বৃত্তান্ত। তা হলে?… চলুন যাওয়া যাক সেই ধূসর জগতে….
একেবারে ছেলেবেলায় জলরঙে ছবি আঁকার কথা মনে পড়ে? গাছ, পশু, মানুষ- সব এঁকে তাদের চারপাশে একটা কালো রঙের বর্ডার টেনে দিয়ে ভারি নিশ্চিন্ত হওয়া যেত। ব্যস, এবার সবকিছুই খুব নিশ্চিত, কারোরই অন্য কিছুর সঙ্গে মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আর কোনোভাবে জলের ফোঁটা পড়ে সেই বর্ডার ঝাপসা, হয়ে গেলেই সর্বনাশ! আমাদের সবার ভেতরেই সেই ছেলেমানুষটা আজও বেঁচে রয়েছে। যে-কোনো পরিচিত ঘটনা, যে-কোনো পরিচিত দৃশ্যের চারদিকে আমরা একটা কাল্পনিক গণ্ডি এঁকে দিই। ধরে নিই, সেই সীমারেখা কখনোই লঙ্ঘিত হবে না। এমন কিছু ঘটবে না অথবা চোখে পড়বে না, যা আমরা জানি না। কিন্তু তাও মাঝে-মাঝে সবকিছু গুলিয়ে যায়। ছেলেবেলার মতই ক্বচিৎ ঝাপসা হয়ে আসে সেই কাল্পনিক সীমারেখা। আর ঠিক সেইসময় পরিচিত ও স্পষ্ট এই সীমাবদ্ধ জগতের ঠিক পাশেই অপরিচিত ও অস্পষ্ট একটা দুনিয়ার আবছা আভাস যেন লহমার জন্য হলেও আমাদের চোখে ধরা দেয়। সে আভাস একইসঙ্গে আকর্ষণের আর অস্বস্তির। সেই আকর্ষণীয়, অথচ অস্বস্তিকর অচেনা জগতের প্রেক্ষিতে লেখা সাতটি আখ্যান একত্র করেই এই সংকলন – ধূসর জগৎ।
Reviews
There are no reviews yet.