Description
ভীষ্ম এসেছেন গান্ধার রাজ্যে। তাঁর
জ্যেষ্ঠভ্রাতুষ্পুত্র ধৃতরাষ্ট্রের জন্য কন্যা
সংগ্রহ করতে। গান্ধাররাজ সুবলের কন্যা গান্ধারীর বিষয়ে ডাট ব্রাহ্মণদের কাছে তিনি শুনেছেন যে, কন্যাটি অপূর্ব সুন্দরী, অসাধারণ বিদুষী, গুণবতী ও সুলক্ষণা। কিন্তু ভীষ্ম তো রাজা সুবলের নিকট কোনো আবেদন নিয়ে আসেননি, তাঁর ইচ্ছাই তাঁর আদেশ। গান্ধারী সেদিন ভীষ্মসকাশে গিয়েছিলেন তাঁর চক্ষুদ্বয় আবরিত করে। ভীষ্ম এর কারণ জানতে চাইলে গান্ধারী বিতর্ক তুলেছিলেন ক্ষমতার একচ্ছত্র ব্যবহারের বিষয়ে। তাঁর যুক্তির কাছে ভীষ্ম পরাভূত হয়েছিলেন, স্বীকার করেছিলেন। সমাজবিধি ইচ্ছে করলেই তিনি পালটাতে পারেন না বা অস্বীকার করতে পারেন না। তিনি স্বীকারই করে নিয়েছিলেন যে, গান্ধারী যথার্থই পরিণামদর্শী।
‘মিহির সেনগুপ্ত এই উপন্যাসে দেখিয়েছেন, স্বেচ্ছান্ধা হলেও গান্ধারী দেখতে পেয়েছেন সত্যকে, বুঝতে চেয়েছেন ধর্মযুদ্ধের নামে কুরুকুলের দুপক্ষকে লড়িয়ে দেওয়ার প্রকৃত কারণ। তিনি চক্ষুষ্মতী।
Reviews
There are no reviews yet.