তথাকথিত যুক্তিবাদীদের প্রচলিত ধ্যানধারণায় দেবতা, লোকদেবতা, অপদেবতা এবং উপদেবতাদের এক ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়াই যায় হয়ত। কিন্তু তাহলে তো লোকসংস্কৃতির লোকায়ত ধ্যানধারণা নিয়ে বাকী সব চর্চাও তো মিথ্যে হয়ে যাবে। কিন্তু যুক্তিবাদীদের উপেক্ষা করেই ব্রতঠাকুরানির হাটের পসরা সাজানোর চেষ্টা। কেউ বলেন অপদেবতা নিয়ে বেশি চর্চার প্রয়োজন নেই। সমাজ পিছিয়ে পড়বে। কিন্তু সত্যিই কি তাই? রবিঠাকুর যে বলেছিলেন ‘দেশের লোক-সংস্কৃতির মধ্যে অতীত যুগের সংস্কৃতির এমন বহু নিদর্শনাদি সংগুপ্ত আছে যেগুলি আমাদের জাতির পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনার মূল্যবান উপকরণ হতে পারে, ওই নিদর্শনগুলি গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করা প্রয়োজন।’ তেমন একগুচ্ছ অপদেবতার কথাও রইল বিশদে। এছাড়াও আমাদের সামাজিক ও ধর্মীয় জীবনের লৌকিক স্তরে যেসব দেবদেবী অধিষ্ঠান করছেন তাঁদের আবির্ভাব, পুজোর প্রচার এবং ক্রমবিকাশের ক্ষেত্রে নানা অনুষঙ্গ জড়িত যেগুলি খুব জনপ্রিয়। যার পেছনে আছে, কোনও প্রাকৃতিক দুর্বিপাক হতে রক্ষা পাওয়া বা কোনও পশুপাখি, কীটপতঙ্গ হতে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। ক্রমে ক্রমে এই লোকবিশ্বাস বিশেষত প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের জনগোষ্ঠীতে লোকাচারে পরিণত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণপ্রান্ত থেকে উত্তর এবং রাঢ়বঙ্গের কৃষিজীবী জঙ্গলবাসী, নৌজীবী, জেলে প্রভৃতি মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে জড়িত এইসব লোকদেবতারা। এমন ৩৭জন লৌকিক দেবদেবীর কথা রইল এই বইতে। ব্রতঠাকুরানির পসরায় আর রইল আদিবাসী কৌম সমাজের বেশ কিছু পালপার্বণের গল্প।
Additional information
Weight
0.5 kg
Dimensions
18 × 2 cm
Reviews
There are no reviews yet.
Be the first to review “Bratathakuranir Hat” Cancel reply
Reviews
There are no reviews yet.