Description
আঠারো-উনিশ শতকে ইউরোপীয় বণিক-শাসককুল যখন এই উপমহাদেশে আবাদ গড়ে তুলল, প্রকৃতির নিয়মেই এই মাটিতেই জন্ম নিল এক জনগোষ্ঠী।
অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান। সংবিধান অনুযায়ী যাদের পিতৃকূল ইউরোপীয় ও মাতৃকূল ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তারা না পুরোপুরি ভারতীয়, না ভিনদেশী। অথবা দুটোই। কয়েক শতাব্দীর হাজারও ভাঙা-গড়ার ইতিহাস পেরিয়ে এখন কেমন আছে এই মানুষরা? পুরনো ব্যারাক পাড়ার গির্জায় জ্বলতে থাকা ম্লান মোমবাতির মতোই তাদের অস্তিত্বও কি এসে দাঁড়িয়েছে নানা সংকটের মুখে? নাকি হাজারও অভিযোজন, অবহেলা-উপেক্ষার পরও, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারা হয়ে উঠছে ভারতবর্ষের অন্যান্য জনগোষ্ঠীর মতোই অবিচ্ছিন্ন? কেমন সাংস্কৃতিক যাতায়াত? দীর্ঘদিনের গবেষণার ফসল এই বইতে উঠে এসেছে ‘বাঙালি বর’ ও ‘অ্যাংলো বউ’-এর গল্প, কলকাতার গির্জায় শাড়ি পরিহিতা মাতা মেরির উপসনার পর লোকায়ত প্রসাদের উপাখ্যান, ভারতবর্ষের অন্যান্য প্রান্তে অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের রোজনামচা, দেশভাগে তাদের অবস্থান আর এই দেশে জন্মেও বহিরাগত হিসেবে ক্রমশ কোণঠাসা হতে থাকার যন্ত্রণা। তবু এসবের পরও মানুষের মধ্যেই বেঁচে আছেন মানুষের ঈশ্বর, চরম নিঃসঙ্গতাও যাকে অভিবাসী বানাতে পারল না।
Reviews
There are no reviews yet.