Description
সবাই বলে বেলমি পাহাড়ির ঝোরা। ভিরভির করে জল বইছে। পাথরের এ-বাজে ঢুকে ও- খাঁজ থেকে সেদিক থেকে চুঁইয়ে বেরিয়ে সে এক দৃশ্য বটে। কিন্তু কথাটা বেলমি পাহাড়ি নয়। বেলামু পাহাড়ি। ঝোরাটা বেলামু পাহাড়ির ঝোরা বললেই ঠিক অর্থবহ হয়। আশপাশের জমিন, ঢেউ খেলানো টাঁড়। সেই ঢেউ-এর শেষ সীমানা, ঝাঁটি জঙ্গল নিয়ে পরেশনাথ পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে পৌঁছোয়। ধাপে ধাপে – সে এক অসামান্য ভূচিত্র, যেন গাঢ় সবুজের ঢেউ। ঐ জমিগুলি পাথর চটিয়ে চেঁছে তুলে শত্রুঘনেরা বা অনুরূপ মানুষেরা আবাদ করেছে। সেখানে পাহাড়ের গা বেয়ে বৃষ্টির যে-ধারা নামে, তাকে আল বন্দি করে ধানের চাষ হয়। আর এ-কথা তো সবাই জানে যে, ধানের চাষ যেটুকু যেখানে হয়, সেখানে তার ‘অলি’ মালিক, হয়, ভূমিহার নয় রাজপুত। এই বেলামু টাড় গোঁওটি একটি ‘ফরেস গাঁও’ বটে। এখা চারদিকেই জঙ্গল আর পাথর। পাথর আর পাহাড়, আর টিলা, আর মালভূমির লাল কাঁকরগুলা উঁচু জমি। সেই জমিকে গর্ভিণী করেছে যারা পেশির হিম্মতে, তারা এই ধান বুনেছে। এর আশপাশের ব্যাপ্তিতে আছে। ফরেস। শাল শার্জন। শত্রুঘন এবং তাঁর গোষ্ঠীর মানুষদের বড়ো প্রিয় এই মহীরুহ। একটা এতদঞ্চলের তামান ভূমিতে ছিল এই শার্জমদের অধিষ্ঠান। আকাশছোঁয়া মাথা নিয়ে ছিল তাদের ঘন বসতি৷৷
Reviews
There are no reviews yet.