Description
শ্যামী ভাষায় রচিত রামায়ণের নাম ‘রামকীর্তি’। মুখে মুখে তা হ’য়ে যায় ‘রামকির্’। এখন বলে ‘Ramakien’ বা ‘রামকিয়েন’। প্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয় নৃপতিদের প্রভাবে শ্যামদেশ বা থাইল্যান্ডে হিন্দু সংস্কৃতি, পুরাণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীতে কম্বোডিয়ায় হিন্দুরাজ্যের প্রতিষ্ঠা হয়। শ্যামদেশের মধ্যভাগে বাস করতেন ‘তাই’ জাতির মানুষ। রামায়ণের প্রভাবে নিজেদের রাজ্যের তাঁরা নাম দেন ‘আযুথইয়া’, ‘অযুধ্যা’ বা অযোধ্যা। থাইল্যান্ডের রাজধানী এখন ব্যাঙ্কক, কিন্তু ১৩৫০ থেকে ১৪৬৩ খ্রিস্টাব্দ এবং পরে ১৪৮৮ থেকে ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্তও অযুধ্যা ছিল সে দেশের রাজধানী। ১৯০২ সাল থেকে থাইল্যান্ডের স্কুলগুলির পাঠ্যক্রমে রামকিয়েন অন্তর্ভুক্ত হয়। ব্যাঙ্ককের চক্রী রাজবংশের রাজারা এখনও ‘রাম’ উপাধি গ্রহণ করেন। ১৭০ বছর ধরে তাঁরা রাজত্ব করছেন।
এই রামায়ণ খুবই অভিনব। ‘হনুমানায়ণ’ বললেও অত্যুক্তি হবে না। এই রামায়ণে কাহিনির অন্যতম নিয়ন্ত্রক হলেন শিব। নোন্তোককে বরদান, ট্রিবুরাম বধ, হনুমানের জন্ম, বালির ক্ষমতা, বালির মন্দোদরী-হরণ, চার ভাইয়ের চার রকমের গায়ের রং, কুম্ভকর্ণের শুচিবায়ুত্ব ও পিটপিটে স্বভাব, সীতার অদ্ভুত পাতালপ্রবেশ, রাবণ পরবর্তী লংকার রাজনীতি-এমন অনেক আশ্চর্য কাহিনি রয়েছে এই রামায়ণে। রয়েছে অজস্র বিচিত্র ‘ভিলেন’ও।
Reviews
There are no reviews yet.