Description
প্রায়ই আমরা শুনতে পাই জীবনের বন্ধনের কথা। প্রেম, বাৎসল্য, শ্রদ্ধা— এইসব মানবিক অনুভূতিগুলি যুগ যুগ ধরে দু’টি জীবনকে এক সূত্রে বেঁধে রেখে এসেছে।
কিন্তু বলুন দেখি, মৃত্যুর বন্ধনের কথা কখনও শুনেছি আমরা? কখনও শুনেছি— মরণের সুতোয় গাঁথা থাকে দু’টি জীবন… বা দু’টি মৃত্যু?
‘হিংস্রতার চুয়াল্লিশ অধ্যায়’ এমনই এক ভয়ংকর আখ্যান— এমন কাহিনি আমরা কখনও শুনিনি, দেখিনি, পড়িনি। নিকষ অন্ধকার এই হিংস্রতার আখ্যানে দু’টি জীবন জড়িয়ে গিয়েছে হিংসার বন্ধনে। সমুদ্রের মন্থনে শেষ পর্যন্ত উঠে এসেছিল অমৃত, ঠিকই, কিন্তু তার আগে যে কালকূট হলাহল উঠেছিল, তা ভুললে চলবে কী করে? এই আখ্যান সেই ভয়ংকর বিষের গভীর থেকে উঠে এসেছে।
দু’টি চরিত্র, আশৈশব যারা জীবনকে দেখেছে মৃত্যুর জানালা দিয়ে, এ তাদের গল্প। নিতান্ত শিশু অবস্থাতেই তারা জানতে পারে, তাদের একটি আশ্চর্য ক্ষমতা আছে— নির্বিচার নরহত্যা করতে তাদের হাত কাঁপে না। পৃথিবীর কোনওরকম অন্যায় করতে তাদের দ্বিধাবোধ হয় না। সেই নিকষ অন্ধকারকে বুকের ভিতর বহন করে তারা এগিয়ে চলে জীবনের পথে। একটি নিরীহ গৃহপালিত পশুকে নির্বিকার চিত্তে হত্যা করে একজন আর এই নিতান্ত নিরীহ অপরাধটি তার সামনে খুলে দেয় এক অনন্ত হত্যালীলার পথ। অপরজন, এক অনাথ বালক, একই পথে এগোয়— নেহাতই পাঠশালায় বসার জায়গা নিয়ে একটি ঝগড়ার ফল হিসাবে হত্যা করে বন্ধুকে; এমনকি মাতৃসমা সেই নারীকেও, যে বিপুল স্নেহে তার অনাথ জীবনকে ঢেকে রেখেছিল।
এখান থেকেই শুরু হয় অনন্ত হত্যার এক রক্তাক্ত পথ। একজন হত্যালীলা শুরু করে নিজের আত্মীয়দের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে। অন্যজন উচ্চাকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করার জন্য অকাতরে বিশ্বাসঘাতকতা করে চলে সকলের সঙ্গে। তারও হাতে রয়েছে একই অস্ত্র— নির্বিকার নরহত্যা। আর কী আশ্চর্য, উভয় ক্ষেত্রেই তাদের পথে যোগ হয় একজন করে নারী, তারা আরও পথভ্রষ্ট হয়ে যায়।
শেষ পর্যন্ত তারা নিজের নিজের গন্তব্যে পৌঁছোতে পারল কি না, হয়ে উঠতে পারল কি না রণদেবতা— সেটাই এই আখ্যানের প্রধান বিষয়বস্তু নয়। এরই সঙ্গে জুড়ে যায় তাদের মরণের পরের জীবনও। সেখানেও তারা ক্রমাগত একে অপরকে হত্যা করে চলে। বারংবার মরে যায় তারা, বারবার বেঁচে ওঠে আবার একে অপরকে হত্যা করার জন্য। মৃত্যুর পরেও থামে না জীবন আর মৃত্যুর এই অভিশপ্ত আবর্ত।
কিন্তু কেন এই অবাধ রক্তপাত, যা এমনকি মৃত্যুতেও শেষ হয় না?
সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে এই আশ্চর্য অভিশপ্ত অন্ধকার আখ্যান- ‘হিংস্রতার ৪৪ অধ্যায়’। এমন অন্ধকার ইতিবৃত্ত যেন কখনও লেখা হয়নি পৃথিবীর বুকে।
আগামীকাল প্রকাশিত হতে চলেছে ভারতবিখ্যাত শিল্পী রাজেশ নাগুলাকোন্ডা অঙ্কিত ও কৃষ্ণা পেদিরেদলা রচিত সম্পূর্ণ রঙিন কমিকস ‘হিংস্রতার ৪৪ অধ্যায়’। আসুন, পা রাখা যাক সেই অন্ধকার সুড়ঙ্গে, আর কখনও যা আলোর মুখ দেখবে না।
Reviews
There are no reviews yet.