Description
ভাগবতের কৃষ্ণরাস বিবর্তিত হল রামরাসে। ১২০০-১৩০০ খ্রীষ্টাব্দে। সেই রামরাস সাধক অগ্রদাস, তুলসীদাস, জগদ্রামী, পৃথ্বীচন্দ্রের ভূষণ্ডী হয়ে ১৯০০ শতাব্দী অবধি বিভিন্ন সাধকের মনে মঞ্চ রচনা করে আর কাব্য রচনায় নিঃসৃত হয়। রামানন্দী সাধকদের সম্পর্ক এর সঙ্গে আসলেও, এই রামায়ণ তাদেরই- এমন নিশ্চয় করে বলা বা না বলা- সময়ের কথা। ১৯৭৫-এ ড. ভগবতীপ্রসাদ সিংহের হাত ধরে সংস্কৃতের পাণ্ডুলিপি সাধক গোষ্ঠীর চৌকাঠ পেরিয়ে প্রথম মুদ্রিত হয়। রামোপাসনায় সীতার বা শক্তির পরমতার এটি রামকেন্দ্রিক সাধনের প্রথম যুগের কথা। সেই সহজারূপী সীতা, রামশক্তির সর্বময়তা, ধীরে ধীরে কালীর সঙ্গে মিশে যায় পৃথ্বীচন্দ্রের ভূষণ্ডে। সূত্রধার সেই ভূষণ্ডী, ভুশুণ্ডি বা ভুশুণ্ড- সেই কাকই সর্বেসর্বা। কাকের কাকত্ব খুঁচিয়ে সাধকবরেণ্য করে তোলা ছিল কাকের গুরু ব্রহ্মার কাজ। সেই কাক আবার আমাদের মনের এক অবস্থা, যা এলে এই রামায়ণ- সাধনের অধিকারিত্ব জন্মাত (বা জন্মালে সে রাম পায়)। সীতা, যিনি রামের শক্তি- ব্রহ্মশক্তি, সেই শক্তিই স্বয়ং প্রেম, সহজ- সহজাত প্রেম, তাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মধুরাদ্বৈত শাক্ত রাম
সম্প্রদায়ের এই আদিরামায়ণ।
Reviews
There are no reviews yet.