Description
সাড়ে তিন হাজার বছর আগে ভারতের পশ্চিম প্রান্তে ধ্বংস হয়ে যাওয়া সিন্ধু সভ্যতার একটা ধারা কোনোভাবে ছিটকে এসেছিল ভারতের পূর্বপ্রান্তে এবং পুরুলিয়ার আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে কোথাও সেই ধারা এখনও গোপনে বেঁচে রয়েছে। ওদের মধ্যেই কেউ কেউ সেই লিপি পড়তে পারেন। কিন্তু তার খোঁজ “পাওয়া অসম্ভব কেননা গোটা জেলা জুড়েই জঙ্গি সংগঠন গণসংগ্রাম সমিতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
সেইসময়ে একদিন কাগজে একটা ছোট্ট খবর বেরোয় যে পুরুলিয়া জেলার কোন একটা পুরোনো মন্দির থেকে পুরোনো দিনের টেরাকোটা ফলক চুরি গেছে। আর সেদিনই কলকাতার এক ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে শৌনক দত্ত নিখোঁজ হয়ে যায়। তদন্তে নেমে জানা যায় যে ও অযোধ্যায় পাহাড়ে গিয়েছিল এবং এই জঙ্গি সংগঠন ওকে মেরে দিয়েছে।
শৌনকের কাগজপত্র ঘেঁটে ওর বউ তিথি সিন্ধুলিপি সম্বলিত একটা মাটির ফলক দেখতে পায়। ওর সাংবাদিক বন্ধু পল্লব সেই ফলকটা ইতিহাসের অধ্যাপক রজত মণ্ডলকে দেখায় এবং উনি নিশ্চিন্ত হয়ে যান যে ওগুলো সিন্ধুলিপিই। ফলে বিপদ জেনেও তিনি ঠিক করেন পুরুলিয়াতে অভিযান চালাবেন। সঙ্গী হয় পল্লব এবং তিথি।
এদিকে গণসংগ্রাম সমিতির মোকাবিলা করছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং তাদের ইনচার্জ শাক্য চৌধুরী নানা জায়গা থেকে সিন্ধুলিপি উদ্ধার করছে। ইতিমধ্যে ওর বান্ধবী শালিনী, যে আবার রজত মণ্ডলের সহকর্মী, এবং এর রিসার্চ ফেলো অহনা পুরুলিয়ায় এসেছে শঙ্খলিপি দেখতে। ঘটনাক্রমে শাক্যর সঙ্গে ওরাও জড়িয়ে পড়ে গণসংগ্রাম সমিতির সঙ্গে লড়াইতে। আর সেইসঙ্গে চেষ্টা চলে সিন্ধুলিপির পাঠোদ্ধারের। উপন্যাস যত এগোতে থাকে পাঠক নানা চমকের মুখোমুখি হয়। সিন্ধু সভ্যতা, আর্য আক্রমণ, সিন্ধুলিপির পাঠোদ্ধার, জঙ্গি সংগঠন এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এই আপাতসম্পর্কহীন বিষয়গুলোর মেলবন্ধন দক্ষ হাতেই হয়েছে এবং নির্দ্বিধায় বলা যায় যে সিন্ধু সভ্যতা ও তার লিপি নিয়ে রহস্য উপন্যাস, যার পরতে পরতে গভীর গবেষণার চিহ্ন, বাংলা ভাষায় আগে কখনো লেখা হয়নি।
Reviews
There are no reviews yet.