Description
আমার বাংলা লেখালেখির শুরু মূলতঃ প্রবন্ধ বা নন ফিকশান দিয়ে। গল্প লিখতাম না। বা লিখলেও কদাচিৎ। একদিন আচমকা টেলিপ্যাথি নিয়ে পড়তে পড়তে ভাবলাম কেমন হবে যদি সত্যিই একজনের মনের কতাহ অন্যজন পড়তে পারে? কিশোর ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত টেলিপ্যাথি গল্পটাই সেই অর্থে আমার লেখা প্রথম সিরিয়াস গল্প। তারপরেও কালে ভদ্রে কিছু লিখেছি। গল্প লেখার গতি বাড়ল শ্রীমান সৌভিক চক্রবর্তীর সম্পাদনায় কিছু বইতে লিখতে গিয়ে। মৌলিক গল্প, অনুবাদ দুটোই হল। লকডাউনে মাস খানেকের মধ্যে লিখে ফেললাম চার পাঁচটা গল্প-স্ন্যাপচ্যাট, শল্লের নাভি, প্রেতিনী, অভিশাপ, নির্জন স্বাক্ষর। অন্যদিকে সূর্যতামসী লেখা চলছিল পুরোদমে (লক ডাউনের প্রচুর সময় হাতে থাকার সুফল)। অনুবাদ করলাম পাকড়ো ছোড়ো, সাজাঘর নামের দুটো গল্প। ফলে ২০২০-র নভেম্বরে দেখা গেল কুড়িয়ে বাড়িয়ে (এক্ষণে কায়দা করে অন্য একটা বইয়ের প্রমোশান-ও করে দিলাম) মোট পনেরোটা গল্প জমা হয়েছে। তাঁদের দুই মলাটে বেঁধে ফেলে প্রকাশ পেয়েছিল আঁধার আখ্যান।
এর পরে গল্প লেখার গতি কিছু বেড়ে গেল। মূলতঃ বাংলাদেশের কিছু সংকলনের জন্য গল্প লিখতে আমায় অনুরোধ করেন প্রান্ত ঘোষ দস্তিদার, সালমান হক ও ওয়াসি আহমেদ। আমি কৃতজ্ঞ তাঁদের কাছে। আরও কিছু মৌলিক ও অনুবাদ গল্প লেখা হয় আর হয় পুজো সংখ্যা অন্তরীপের জন্য ভস্মবহ্নি। পুজো সংখ্যায় আমার লেখা প্রথম উপন্যাস। সম্পাদকমন্ডলীকে ধন্যবাদ।
এই সব গল্প উপন্যাসকে একত্র করে আর সঙ্গে একেবারে প্রথমবারের জন্য নতুন কিছু গল্প লিখে আবার ১৫টি কাহিনি বুকে নিয়ে আগামীকাল প্রকাশ পাচ্ছে আবার আঁধার।
আশা করি আপনাদের হতাশ হতে হবে না।
Reviews
There are no reviews yet.