Description
বাংলা গদ্যভাষার জয়যাত্রায় সংস্কৃত
ভাষা ও সাহিত্য পর্যালোচনার পথ
উন্মুক্ত করেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। শিক্ষা ইংরেজি বা সংস্কৃত, যাই হোক না কেন, তার প্রয়োগের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম ‘মাতৃভাষা’, এই বিশ্বাসের ভিত্তিভূমি তিনি নির্মাণ করেছিলেন। ইউরোপে সংস্কৃতবিদ্যার প্রভাবে বাংলাভাষায় সংস্কৃত সাহিত্যচর্চায় আধুনিক রীতিপদ্ধতির প্রয়োগ ঘটে রাজেন্দ্রলাল মিত্র ও অন্যান্যদের হাতে। কিন্তু সংস্কৃত সাহিত্যচর্চা স্বাদেশিক অভিমান ও সর্বজনীন সার্বভৌমিকতার পথ খুঁজে পায় বঙ্কিমচন্দ্র ও তাঁর ‘বঙ্গদর্শন’-এর লেখকগোষ্ঠীর রচনার মধ্য দিয়ে। সংস্কৃত সাহিত্য উপভোগে রবীন্দ্রনাথ হয়ে উঠেছিলেন ভাবশরীরী ভারতবর্ষের সত্যদ্রষ্টা রাজর্ষি ধ্যানী গাথাকার। এই রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলেই অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় ভারত-আত্মার সঙ্গে পরিচিত হবার ঐকান্তিক প্রয়াসে সংস্কৃত সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন। সংস্কৃত সাহিত্যের সর্বোৎকৃষ্ট সৃষ্টি ‘রামায়ণ’ পর্যালোচনায় তাঁর এ-যাবৎ অগ্রন্থিত তেরোটি প্রবন্ধ ও একটি জবাবী প্রবন্ধের সংকলন এই গ্রন্থ সম্ভবত আজও সমালোচনা সাহিত্যে
গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।
Reviews
There are no reviews yet.