Description
১৯৩০ সালে সূর্য সেনের নেতৃত্বে ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মির সদস্যদের চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন এবং তারপর জালালাবাদ পাহাড়ে বিশাল ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অসম সাহসী লড়াই শুধু ভারতের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে নয়,
বিশ্ব-বিপ্লবের ইতিহাসেও স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। জালালাবাদ পাহাড়ের ওই যুদ্ধে মাত্র তেষট্টিজন তরুণ বিপ্লবীর প্রতিরোধের সামনে পরাজয় স্বীকার করে পালাতে হয়েছিল অসীম শক্তিধর ব্রিটিশ বাহিনীকে। জালালাবাদ পাহাড়ের ওই যুদ্ধের পর সূর্য সেনের বাহিনীর সদস্যরা সাময়িকভাবে আত্মগোপন করেছিলেন। দু বছর পর আবার তাঁরা একত্রিত হয়ে চট্টগ্রামের ঘুরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করেন। এই উপন্যাসটি অবশ্য চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার থেকে জালালাবাদ পাহাড়ের যুদ্ধ- ওই কটি দিনের ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
সূর্য সেন এবং তাঁর রিপাবলিকান আর্মির সদস্যরা প্রথম থেকেই সাম্যবাদী ভাবধারার অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। রাশিয়ার বলশেভিক বিপ্লব তাঁদের অনুপ্রাণিত করেছিল। ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ হয়ে উঠেছিল তাঁদের স্লোগান। আশফাকুল্লা খান, লালা হরদয়াল, রামপ্রসাদ বিসমিলের হিন্দুস্থান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের মতো বিপ্লবী – সংগঠনের সঙ্গেও তাঁদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। আয়ারল্যাণ্ডের আইরিশ রিপাবলিকান আর্মির দ্বারাও অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন সূর্য সেন এবং তাঁর অনুগামীরা। স্বাধীনতার পর গণেশ ঘোষ, অম্বিকা চক্রবর্তী, লোকনাথ বল, অনন্ত সিংহের মতো সূর্য সেনের অনেক অনুগামীই সক্রিয়ভাবে বাম রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সেই অর্থে জালালাবাদ পাহাড়ের যুদ্ধকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভারতীয় কমিউনিস্টদের সশস্ত্র সংগ্রাম বললেও অত্যুক্তি হবে না। বোমাঞ্চকর সেই সংগ্রামের কাঞ্জিনিই বিধৃত হয়েছে এই গ্রন্থে।
Reviews
There are no reviews yet.